রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৪ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রায় ৩,৪৮,৩৩৯ জনসংখ্যা ও ৫৮ বর্গ কিমি আয়তনের এই বরিশাল নগরে বেসরকারিভাবে ব্যক্তি মালিকানাধীন ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে প্রায় ১৫০ ,ইদানিং এর সংখ্যা বাড়ছে কিন্তু কমছে না। সব ডায়াগনস্টিক সেন্টারেই রোগীর উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।
দেখলে মনে হয় পুরা নগর যেন অসুস্থ। মেডিনোভা মেডিকেল সার্ভিসেস লিমিটেড বাংলাদেশে একটি সর্ববৃহৎ ডায়াগনস্টিক সেন্টার। বরিশালের এই অসুস্থ জনগণের সুনিশ্চিত রোগনির্ণয় করার মধ্যে দিয়ে ব্যাবসা করতে বরিশালে তারা যাত্রা শুরু করে ২০০৮ সালে।
বাংলাদেশে মিডিয়া এবং মার্কেটিং এর সুবাদে তারা একটি ব্র্যান্ড হয়ে গেছে। অতিরিক্ত কমিশন ও উপহারের বিনিময় চিকিৎসকরাও মেডিনোভাতে পাঠান রোগীদের প্যাথলজিকাল পরীক্ষা করার জন্য। মেডিনোভা তাদের উন্নত ডেকোরেশন সুশীতল বাতাস দিয়ে রোগীদের মন ভুলিয়ে ব্যাবসা করছে তাদের মন ভরে।
বরিশালে মেডিনোভা ব্রাঞ্চে ঘুরে দেখা যায় , তাদের এক্সরে বিভাগে ৮ জন টেকনিশিয়ান এর মধ্যে ২ জন রয়েছে ডিপ্লোমা ডিগ্রি সম্পন্ন। সিটি স্ক্যান করার জন্য যিনি রয়েছে তার এই বিষয় কোনো ডিগ্রি নেই এবং পূর্বের কোনো অভিজ্ঞতা নেই ।
তিনি মেডিনোভাতে এসে সিটি স্ক্যান করা শিখেছে। তিনি এর পূর্বে কোনো এক বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করতেন। মাঝে মাঝে এক্সরে টেকনিশিয়ান সিটি স্ক্যান করে। এম আর আই করার জন্য যে টেকনিশিয়ান আছে তারও কোনো ডিগ্রি নাই। তিনিও এখানে এসে এম আর আই কিভাবে করতে হয় তা শিখেছে।
সিটি স্ক্যান ও এম আর আই পরীক্ষায় কখনো ইনজেকশন দিয়ে করতে হয় তখন সেখানে একজন ডাক্তার উপস্থিত থাকতে হয়। এটা নিয়ম ,কিন্তু তারা ওই হাতে শেখা লোক দিয়ে সব কাজ করায়। মেডিনোভার প্যাথলজি বিভাগে মাইক্রোবায়োলোজি শাখায় রয়েছে ২ জন টেকনিশিয়ান এর ১ জনের রয়েছে বেসরকারি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের একটি ডিপ্লোমা সনদ।
এই ডিপ্লোমা সনদ দানকারী বেসরকারি এই প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের বৈধতা নিয়ে রয়েছে অনেক কথা। ২য় টেকনিশিয়ানের নেই কোনো সনদ , তিনি পূর্বে একটি এন জি ও তে চাকরি করতেন। আরো জানা যায় , পাথলোজিক্যাল যে পরীক্ষা করা হয় তার যে রিএজেন্ট (পরীক্ষা করার রাসায়নিক উপকরণ ) ব্যবহার করা হয় তা প্রায়ই মেয়াদ উত্তীর্ণ থাকে।
মেয়াদ উত্তীর্ণ রিএজেন্ট (পরীক্ষা করার রাসায়নিক উপকরণ ) মেডিনোভার স্টোরে রুমের ভিতরে ফ্রীজে রেখে দেয় কাজের সময় বের করে নিয়ে আসে। কাজ শেষে রেখে দেয়। উল্লেখ্য যে, পরিদর্শক ম্যাজিস্ট্রেট আসলে তারা মেয়াদী রিএজেন্টেরে একটা স্যাম্পল সামনে প্যাথলজিতে রেখে দেয় ম্যাজিস্ট্রেট চলে গেলে আবার তা পুনরায় দেখাবার জন্য সংরক্ষন করে রাখে।
মেডিনোভার মতো কথিত স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান সাধারণ মানুষদের বোকা বানিয়ে ভয়াবহ এই অপরাধ করে যাচ্ছে। শুধু সাধারণ মানুষদের নয় বোকা বানাচ্ছে সরকারকেও।
সফটওয়্যার এর মাধ্যমে বিল করার সুবাধে মাস শেষে সফটওয়্যার থেকে ডাটা মুছে সরকারকে মুনাফা কম দেখিয়ে ভ্যাট ট্যাক্স কম দিচ্ছে।
সরকার ও সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে এভাবেই ব্যাবসা করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে ২০১৩ সালে জামাত শিবিরের প্রতিষ্ঠান হিসাবে তালিকার শীর্ষে থাকা মেডিনোভা মেডিকেল সার্ভিসেস লিমিটেড।
Leave a Reply